ফাইল ছবি
গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলায় এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ ৮ জনের মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ৩০ মে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এ মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ছিল। তবে আসামিক্ষের আইনজীবীরা সময় আবেদন করলে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ৩০ মে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে, গত ৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন আইনজীবী মাহমুদুল হাসান। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এ মামলায় জি কে শামীম ছাড়া অন্য আসামি হলেন– মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে জি কে শামীমকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ঐ ঘটনার পর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার ৭ দেহ রক্ষীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। এরপর দ্বিতীয় কোনো মামলায় তাদের বিচার শেষ হতে যাচ্ছে।